কবুতরের প্রজনন প্রক্রিয়া

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

কবুতরের প্রজনন প্রক্রিয়া (Breeding process of pigeon )

কবুতরের তেমন কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। ডিম পাড়ার বাসা, ডিম ফুটানো, বাচ্চার যত্ন এবং খাদ্য সংগ্রহ কবুতর নিজে নিজেই করে থাকে। ৫-৬ মাস বয়সে কবুতর ডিম পাড়ে। এ সময় থেকে পুরুষ এবং স্ত্রী কবুতরের জোড়া একসাথে দিতে হয়। কবুতর একবার জোড়া হয়ে গেলে, তাদের বন্ধন সহজে ছিন্ন হয় না।

নতুন জোড়া তৈরি করতে হলে তাদেরকে এক হতে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত একসাথে আটকিয়ে রাখতে হয়। পুরুষ ও স্ত্রী কবুতর উভয়েই খড়কুটা সংগ্রহ করে ডিম পাড়ার স্থান ঠিক করে নেয়। ডিম দেয়ার পর পুরুষ ও স্ত্রী উভয়েই পালাক্রমে ডিমে তা দেয়। পুরুষ কবুতর দুপুরের দিকে এবং স্ত্রী কবুতর অবশিষ্ট সময় ডিমে তা দেয় ১৮ দিনের সময়ে ডিম থেকে বাচ্চা বেরিয়ে আসে। পুরুষ স্ত্রী দুজনেই একইভাবে সদ্য প্রস্ফুটিত বাচ্চাকে তা দেয় এবং ১ম থেকে ৪র্থ দিন পর্যন্ত এদের খাদ্য থলিতে প্রস্তুতকৃত মিল্ক খাইয়ে বাচ্চাদের বাঁচিয়ে রাখে। ১০ দিন পর্যন্ত কবুতর তাদের বাচ্চাদেরকে ঠোঁট দিয়ে খাইয়ে দেয়। পরে বাচ্চারা নিজে নিজে খাদ্য খেতে শিখে নেয়। কবুতরের খাদ্য থলি থেকে যে রস নিঃসরণ হয়ে থাকে সে নিঃসরণকে কবুতরের দুধ (Pigeon milk) বলা হয়।

কবুতরের খোপের সামনে বারান্দায় খাদ্য ও পানির পাত্র রাখতে হয়। গোসল করার সুবিধার জন্য বাসার সামনে একটি পাত্রে গোসলের পানি এবং অন্য একটি পাত্রে ছাই বা বালি রাখতে হয়। কবুতরের ঘরের মেঝে সব সময় শুকনা ঝরঝরে রাখতে হয়। প্রতি মাসে ১/২ বার খোপের ভেতরের লিটার পরিষ্কার করে দিতে হয় । কবুতর ৩-৪ বৎসর পর্যন্ত উর্বর ডিম উৎপাদন করতে পারে। বয়স বেশি হলে উৎপাদিত ডিম হতে বাচ্চা ফুটানোর সম্ভাবনা কমে যায়। এরা ১৫-২০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। বাচ্চা কবুতরের যাতে অধিক গরম বা ঠান্ডা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মুরগির ন্যায় কবুতরও বছরে একবার পালক বদলায়। বর্ষাকালে পালক বদলানোর সময় এদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হয়।

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

  • Pigeon milk কী?
  • কবুতর কীভাবে pigeon milk স্কোয়াবকে খাইয়ে দেয় ?

 

 

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion